বাংলাদেশে আর কোন প্রকার অশান্তি ও সংঘাত চাননা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতে বর্তমান বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে।তাই তিনি কোন প্রকার অশান্তি চাননা।কারন এতে বাংলাদেশ কয়েক ধাপ পিছিয়ে যাবে।
রবিবার ২৮ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন আরও বলেন,জাতির পিতা বর্তমান বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকার একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে।আর তার ফলেই বাংলাদেশ মধ্যে আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। তার মতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পেছনে রয়েছে অব্যহত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে পৌছে দেওয়ার জন্য সব সময় শান্তি পূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবপ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন,তিনি শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন, শান্তির বাণী শুনিয়েছেন, কিন্তু নিজেকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা আর চাই না অশান্তি, সংঘাত। আমরা চাই দেশের উন্মতি দেশের মানুষের উন্নতি।এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা দেশের জন্য কাজ করে যাবো। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর অশান্ত পরিবেশ। ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে তখন কিছু উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছিলাম।পরে আবারও তা নষ্ট হয়। আবার ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজমান বলেই আজকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে।বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শপথ নিয়েছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটা উন্নত দেশে পরিনত করবে।বাংলাদেশের মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা গুলো যাতে ঠিক ভাবে ভোগ করতে পারে সেই প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করবো।ইনশাল্লাহ এদেশে কোন মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জাতির পিতা শান্তিতে বিশ্বাস করতেন।আমরাও তার দেখানো পথে চলবো। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমরা ১ নম্বর দেশে হিসেবে সারা বিশ্বের শান্তি রক্ষা করে যাচ্ছি।এভাবে সব ক্ষেত্রে আমরা এক সময় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবো ইনশাআল্লাহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও গবেষক মোনায়েম সরকার।মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক।ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ পিস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মোজাফফর হোসেন পল্টু।