প্রত্যক ধর্মালম্বীদের নির্দিষ্ট ধর্মগ্রন্থ রয়েছে।তেমনি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রান প্রিয় ধর্মগ্রন্থ বাইবেল।
কিন্তু ‘বাইবেল’ কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঙ্গরাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো। কারন হিসেবে উল্লেখ করেন রীতিমতো বাইবেলে ‘অশ্লীলতা এবং সহিংতার’ উপকরণ রয়েছে যা ইতিবাচক নয়, আর এ যুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজ্যের একটি শিক্ষা বিভাগ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই কথা উল্লেখ করেন । এতে বলা হয়, যে স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই অভিভাবক দাবি করেন, বর্তমানে রাজা জেমসের বাইবেলে এমন কিছু নেতিবাচক বিষয় রয়েছে যেগুলো এই বয়সের শিশুদের জন্য অনুপযুক্ত এবং বিবৃতিজনক। যুক্তরাষ্ট্র উটাহ এর রিপাবলিকান সরকার ২০২২ সালে একটি নতুন আইন পাস করে। উক্ত আইন অনুযায়ী, ‘অশালীন ‘ বইগুলো পড়ানো স্কুলে নিষিদ্ধ থাকবে। এখন পর্যন্ত এই আইন অনুযায়ী অনেক বই নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। যেসব বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলো কোনো না কোনোভাবে ‘যৌন শিক্ষা’ এবং অশ্লীলতার পরিচয়’ এর সঙ্গে সম্পর্কিত। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীলরা ‘সমকামী অধিকার এবং জাতিগত শিক্ষার বৈষম্যর’ ওপর যেসব বই আছে সেগুলো নিষিদ্ধের বড় রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এমন প্রচেষ্টার মধ্যেই এ নিষেধাজ্ঞা আসল। এ আইন কিছু অসাম্প্রদায়িক রাজ্যতেও রয়েছে। কিন্তু গতগত উইকে রাজ্যের সল্ট লেক সিটির ডেভিস স্কুল বিভাগ খ্রিস্টীয় ধর্মগ্রন্থ ‘বাইবেল’ নিষিদ্ধের নির্দেশ দেয়। কারন এর আগে ২০২২ সালে ডিসেম্বরে বাইবেল নিয়ে একটি অভিযোগ করে একজন অভিভাবক। ঐ অভিভাবক বলেন ‘রাজা জেমসের বাইবেল আমাদের বর্তমান দৃষ্টিতে অশ্লীলতার সামিল। এতে এমন কিছু নেই যা শিশুদের জানতে ও শিখতে হবে’। তার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।