এশিয়া মহাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশ। প্রাথমিকভাবে মহাদেশটি পূর্ব ও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। আনুমানিক ৪৩০ কোটি মানুষ নিয়ে এই মহাদেশ গঠিত। এই মহাদেশ টিতে পৃথিবীর প্রায় ৬০ শতাংশ এরও বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠে ৮.৭ শতাংশ এবং স্থলভাগের ৩০ শতাংশ জুড়ে অবস্থিত। আধুনিক যুগে এশিয়ার বৃদ্ধির হার উচ্চ। এশিয়া মহাদেশের তিনটি ভাগ রয়েছ।সেগুলো হলো পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ও মধ্য এশিয়া। এশিয়া মহাদেশ ৪৯ সার্বভৌম দেশ নিয়ে গঠিত। এশিয়া মহাদেশের আয়তন ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার বর্গ কিলোমিটার।শুধুমাত্র ফিলিস্তিন ছাড়া এশিয়া মহাদেশের সকল দেশ জাতিসংঘের সদস্য। ফিলিস্তিন বর্তমানে পর্যবেক্ষণ রাষ্ট্র।
এ মহাদেশের জনঘনত্ব ১০০/কিমি^২।এই মহাদেশের জিডিপি $ ৬৩.৩৫ ট্রিলিয়ন।এবং মনোনীত জিডিপি $৩৪.৩৯ ট্রিলিয়ন। মাথাপিছু জিডিপি ৭৮৯৫৯।
কিছু ইতিহাস।
এশিয়ার ইতিহাস বিভিন্ন প্রান্তিক উপকূলীয় অঞ্চলের স্বতন্ত্র ইতিহাস হিসেবে দেখা যায়। পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্য এশিয়া এশিয়ার প্রান্তর যারা দ্বারা যুক্ত।। এশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল গুলো পৃথিবীর প্রাচীনতম পরিচিত সভ্যতাগুলোর বিকাশ স্থল।সপ্তম শতকে মুসলিম বিজয় চলাকালে ইসলামিক মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া জয় করে, পরবর্তীতে মোঙ্গল সাম্রাজ্য এশিয়ার অনেক বড় অংশ জয় করে যা চিন ও ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত। রাশিয়ান সাম্রাজ্য ১৭শ শতক থেকে এশিয়ায় বিস্তৃত হয়, ১৯শ শতকের শেষ নাগাদ সাইবেরিয়া অধিকাংশ মধ্য-এশিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ১৬শ শতকে ওসমানী সাম্রাজ্য আনাতোলিয়া, বলকান, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আআফ্রিকার অঞ্চলগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। সতেরো শতকে মানচুরা চিন জয় করে এবং চিন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।অন্যদিকে ষোড়শ শতকের ইসলামী মুঘল সাম্রাজ্য অধিকাংশ ভারত শাসন করে।।এভাবেই এশিয়া মহাদেশের বিস্তৃতি ঘটে।
আয়তন ও জনসংখ্যা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় দেশ হচ্ছে চীন ।আয়তনে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দেশ হচ্ছে মালদ্বীপ। এশিয়ার মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম সাগর। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় মরুভূমি হচ্ছে গোবি মরুভূমি। ৫ লক্ষ বর্গ মাইলের এই মরুভুমি উত্তর চিন থেকে মঙ্গোলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। লোহিত সাগর মূলত এশিয়া মহাদেশ আফ্রিকা মহাদেশকে পৃথক করেছে।এবং জাপানের টোকিও হচ্ছে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নগরায়ন এলাকা।।
এশিয়া মূলত গ্রীক সভ্যতার একটি ধারণা। এশিয়া অঞ্চলের নাম আধুনিক ভাষায় বিভিন্ন আকারের মাঝে এর চূড়ান্ত উৎপত্তিস্থল অজানা। এর ভূপতি উৎপত্তির ভাষা অনিশ্চিত।। এটা নথিভূক্ত নাম গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন নামের একটি।
এর অত্যন্ত বিচিত্র জলবায়ু ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জলবায়ু পরিধি আর্কটিক ও উপ আর্কটিক থেকে দক্ষিণ ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ক্রান্তীয় পর্যন্ত বিস্তৃত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় কবি ১৯১৩ সালে এশীয় হিসেবে সর্বপ্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। বাংলাদেশ মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত।
Featured Image By WikiPedia.org