করোনা ভাইরাস সমগোত্রীয় ভাইরাসের একটি বড় পরিবার ।
গত বছর মার্চে ৪ জনের করোনা ভাইরাস ধরা পাওয়ার পর মানুষের মাঝে একটা হইহুল্লর শুরু হয়ে যায় ।
সবাই মাস্ক পড়া শুরু করে । কিন্তু এ বছরের করোনা ভাইরাস একটু ভিন্ন বা ব্যতিক্রম ।
এবারের কোভিডের ব্যতিক্রম চিত্রের নিম্নরূপঃ
১.কোভিড স্যাম্পল(RT-PCR) যেটাই আসুক
এইচ আর সিটিস্ক্যানে (HR CT Scan of Chest)
১০-৭০% পর্যন্ত ফুসফুস ইতিমধ্যে আক্রান্ত
২.রোগীর শ্বাসকষ্ট বাহ্যিকভাবে বেশ কম,
কিন্তু সেচুরেশন(SpO2) অস্বাভাবিকভাবে অনেক কম
৩.অনেক রোগী মাত্র ১৫ মিনিট-২/৩ ঘন্টার মধ্যে রোগী আকস্মিকভাবে খারাপ হয়ে হচ্ছে্ন এবং কিছু বুঝে উঠার
আগেই মারা যাচ্ছেন
৪.ডায়েরিয়া এবং বমি অস্বাভাবিকভাবে বেশি,
সাথে প্রচন্ড শারীরিক দূর্বলতা
৫.কেউ কেউ এতই এলোমেলো আচরণ করছেন যে
অক্সিজেন মাস্কও রাখতে চাচ্ছেন না।
৬.সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে,এবারের
অধিকাংশ রোগীই বয়সে তরুণ,পূর্বে জটিল রোগমুক্ত ছিলেন।
এক লোকের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু দেওয়া হলো :
“
“
হঠাৎ কেমন জানি অস্বস্তিকর ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে,যার প্রতিফলন কিছুটা নিজের মাঝেও টের পাচ্ছি।তাই দয়া করে যারা পার্টি করছেন,বিভিন্ন জায়গায় মাস্তির ছবি দিচ্ছেন,দয়া করে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সৃষ্টিকর্তার দোহাই দিয়ে বলছি এগুলো বন্ধ করেন।
হাসপাতালের পাচটি তলার ৩২৪টি বেড প্রায় পূর্ণ হওয়ার পথে,সামনে কেউ ওয়ার্ডেও ভর্তি হতে পারবেন না,আইসিইউ তো প্রায় অসম্ভব।ইতিমধ্যে আমাদের ডাক্তার ভাই-বোনদেরকে ভর্তি দেওয়াও কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। গতকাল এবং আজ ২ টি মৃত্যু ডিক্লেয়ার করেছি,সময় পেয়েছি ৩০ মিনিট,আরো একটি মৃত্যুর অপেক্ষায় ছিলো,এছাড়া প্রতি শিফটিং ডিউটিতে ৮/১০টি রোগীর জন্যে আইসিইউর জন্যে রেফার করছি,কিন্তু তাদের অধিকাংশই সিট পাচ্ছেন না।একেকটি ডিউটি শেষ করে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরছি।তাই সবাই স্বাস্থ্য সচেতন হোন।
এবারে কোভিডের সিনারিও অত্যন্ত ভয়াবহ।গতবছরের শুরুর দিক থেকেও আপাতদৃষ্টিতে অধিকতর ভয়াবহ মনে হচ্ছে … আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করে দিন . আমিন ।”