পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরন করার অন্যতম একটি উৎস। কিন্তু কয়লা সংকটের জন্য হঠাৎ এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা যায় গত ২৫ মে এই উৎপাদন বন্ধ করা হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর ৩ বছরের মধ্যে এই প্রথম এমন ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে যদি সঠিক সময়ের মধ্যে কয়লার যোগান না হয় তবে এই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্য ইউনিটটি থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ সূত্র বলছে, তাদের কাছে মাত্র ৫০ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে।সেখানে দুটি ইউনিটের প্রতিটিতে প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন। তাতে দেখা যায় ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটি বন্ধ হতে আর বেশি দেড়ি নেই। বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করে এবং আর কয়লার টাকা দেয় (সিএমসি) । বিসিপিসিএল জানায়, গত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে বকেয়া থাকায় সিএমসি পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত এই সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বর্তমানে প্রায় ৩০ কোটি ডলার বকেয়া আছে এর মাঝে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা ৫ কোটি ৮ লাখ ডলার হাতে পেয়েছি এবং মে মাসের মধ্যে আরও ১০ কোটি ডলার পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি।বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে পিডিবি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। এ নিয়ে পিডিবির মুখপাত্র শামীম হাসান বলেন, আশা করি পায়রা বন্ধ হওয়ার আগেই এখানে পর্যাপ্ত কয়লা সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের মজুতকৃত কয়লা দিয়ে যতদিন সম্ভব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখা হোক। যদি এরপর বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকল্প উৎস বের করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা হবে।