আজ বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ই-মেইলের মাধ্যমে বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে বলেন আপনি নিজেও জানেন যে, বর্তমান টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবায় গ্রাহকরা কি পরিমানে দুর্ভোগের রয়েছে।
গত এক বছর দেশ এর সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছিল কেবলমাত্র প্রযুক্তির উন্নয়ন ও নেটওয়ার্কের মহা সড়কের মাধ্যমে।
কিন্তু এ মহা সড়কের অবস্থা বর্তমানে এতটাই বেহাল যা ভাষায় বোঝানো দুষ্কর। আপনার প্রতিষ্ঠান মানোন্নয়ন পরীক্ষা লক্ষ করা যায় কলরপের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২-৩.৫ এ উন্নীত হয়েছে। সংযোগ পেতে গ্রাহকের ৭ সেকেন্ড এর পরিবর্তে তে ১০-১২ সেকেন্ড সময় লাগছে।
মিউট কল সহ অসংখ্য বিড়ম্বনা, ইন্টারনেটের ধীরগতি, ডাটা ক্রয় করে ডাটা ব্যবহার করতে না পারা, আরো অসংখ্য প্রতারণা এর সাথে যুক্ত হয়েছে। করণা মহামারীর মধ্যেই দেশের শীর্ষ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন তার কাস্টমার কেয়ার গুলি বন্ধ করে দিয়েছে। আজ গ্রাহক সেবার মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। এসকল দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখেই আমরা গত বছর ২৮ নভেম্বর উকিল নোটিশ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম।
পরবর্তী সময়ে মহামান্য হাইকোর্টে আমরা রিট পিটিশন দাখিল করি, যা বর্তমানে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। দেশে ইতিমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বার্তা শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় যদি দ্রুত নেটওয়ার্ক এর মানোন্নয়ন ও ইন্টারনেটে ডাটার গতি বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত সরবরাহ না করা যায় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
শিক্ষাব্যবস্থা গত এক বছরে ইন্টারনেটের স্বল্পতা উচ্চমূল্যের কারণে ভেঙ্গে পড়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। টেলিমেডিসিন এ সময় আমাদের সহযোগিতা করলেও গ্রামীণ প্রান্তিক পর্যায়ে এসেবা পৌঁছানো যায়নি। শুধু তাই নয় ঢাকা শহরের বহু এলাকায় নেটওয়ার্ক পাওয়া দুষ্কর। এমনকি আমরা লক্ষ্য করেছি ঢাকা জজ কোর্ট এর বহু এলাকা, গুলিস্থান, পুরাতন ঢাকা, বিশ্ববিদ্যালয়, ও মহামান্য হাইকোর্টের বহুলাংশে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।
২০১৯-২০২০ ও ২০২১ সালে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ। ডাটার ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। বর্তমানে চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ প্রায়। এমতাবস্থায় দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা বাণিজ্য, অফিস-আদালত, বিনোদন ব্যবস্থা, পারিবারিক বন্ধন, সবকিছু সচল রাখতে একমাত্র মাধ্যম নেটওয়ার্ক এর মানোন্নয়ন অপর্যাপ্ত দ্রুতগতির ডাটা সরবরাহ করা।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিনীত আহবান দ্রুত টেলিযোগাযোগ ও ব্রডব্যান্ডের মানোন্নয়ন ঘটান। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এর বিকল্প কোন সমাধান নেই।
বার্তা প্রেরক
লোটাস জামিল
দপ্তর সম্পাদক
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন