শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন আমরা কারো কাছে মাথা নত করবোনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য প্রদানকালে বলেন,শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ দিলে বাংলাদেশকে কেউ আর পেছনের ফেলতে পারবেনা।দেশ থেকে সকল প্রকার অন্ধকার লোপ পাবে।শিক্ষার্থীদের কারও কাছে মাথা নত না করার উপদেশ দিয়ে বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। এই বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে। আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মান নিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা কারও কাছে মাথা নত করবো না আর এটাই হবে আমাদের অঙ্গীকার। রবিবার ১১ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকার গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়াতে উপবৃত্তি দিয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিয়েছেন যাতে তারা তাদের মেধাকে আরও বিকশিত করতে পারে।সেই সাথে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,আজকের শিশুদের মনে সবসময় রাখতে হবে যে এ জাতি বীরের জাতি।বাংলাদেশ উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।আমাদের মেধাবী শিশুরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে এই দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ো তোলা হবে। এই দেশে থাকবে স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমরা কৃষি,চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও গবেষণায় উপর গুরুত্ব দিয়েছি। কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে।কিন্তুু আমরা চিকিৎসা গবেষণায় কিছুটা পিছিয়ে আছি। তাও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি এছাড়া সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা এবং ব্লু-ইকোনমিকে গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ, এটি ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্মৃতি কর্মকার ।