বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গন থেকে ঝরে গেল আরেকটি নক্ষত্র সকলের প্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। এটিএম শামসুজ্জামান অভিনয় জীবন বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। অবশেষে আজ সকালে সূত্রাপুরে তার নিজস্ব বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮০ বছর। মেধাবী প্রাণবন্ত সাদামাটা মানুষ ছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। ছিলেন একজন আদর্শ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। অসুস্থতার সময় নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অনেক গুণী ব্যক্তিজন।
উনার স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো অনেকেরই। এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন নাটক জীবনের সিনেমা এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি’র একজন প্রতিনিয়ত শিল্পী। এছাড়াও আরো অন্যান্য অনুষ্ঠানে অনেকগুলি নাটক তাকে প্রাণবন্ত ভাবে অভিনয় করার সুযোগ হয়েছিল। সিনেমা থেকে শুরু করে খলনায়ক থেকে শুরু করে উনি অভিনয় করেছেন।
তার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি অনেক কিছু শিখেছি। ওনার সাথে গভীরভাবে মেলামেশার সুযোগ হয়নি কিন্তু উনার আন্তরিকতা সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু অনেক কিছু ধারণা ছিল। একটা বিশেষ দুর্বলতা ছিল যে তার চিকিৎসা থাকা অবস্থায় আমরা কোন ভাবেই তাকে দেখতে পারেনি। কোন অভিনয় থেকে শুরু করে অন্যান্য কোন ক্যামেরার সামনে তাকে দাঁড়াতে ইচ্ছে প্রকাশ করেনি। এটিএম শামসুজ্জামান অভিনয় করতেন আমরা ওনাকে শুটিং অবস্থায় অনেক জায়গায় বিচলিত ভাবে অনেক জায়গায় সুন্দর স্বচ্ছন্দভাবে দেখেছি।
আপনারা জানেন উনি যখন একটা নাটকের শুটিং স্পটে যেতেন সেখানে একটা আনন্দ পরিবেশ মুহূর্তে একাকার হয়ে যেত খাওয়া-দাওয়া সব কিছুতেই খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই তার বিশ্বাস এখানে শেষে সে অভিনয় করলে তার শারীরিক কোন অসুবিধা হবে না। তাই এখান থেকে আবার তিনি আবার যাত্রা শুরু করতে চান। আরেকজন নাট্যকার এটিএম শামসুজ্জামানের মতো আমরা ফিরে পাবো না আমাদের এই নাট্যাঙ্গন চলচ্চিত্র অঙ্গন এবং ইত্যাদি সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে। শামসুজ্জামানের কখনো কোনো বিকল্প ছিলনা আর হবে কি না আমরাও জানি না। তার প্রতি ছিলো অভিনয়ের জন্য আলাদা বৈশিষ্ট্য। এই মহান শিল্পীর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত আমরা তাহার মাগফিরাত কামনা করছি।