সোনাইমোড়ী ডেস্ক:আজ সকালে রাজধানীর এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ডিজিটাল নিরাপত্তার কার্যক্রম উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার পাশাপাশি যেটি হয়েছে সেটি হচ্ছে অনেকে দেশের অভ্যন্তর থেকে এবং বিদেশে বসেও ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নিজের পরিচয় গোপন রেখে অন্যের চরিত্রহনন করা হচ্ছে।
সেটা’সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ও ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে,করোনার টিকা নিয়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইনে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে কতজনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে একটি আইনের প্রয়োজন, সেটিই হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
যে আইনটি দেশের সব মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক, শিক্ষক, চাকুরিজীবী, কৃষক, লেখকসহ রাষ্ট্রের সকল পেশার মানুষদের সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য। বাংলাদেশের সকল জনগনকে সুরক্ষা দেবার জন্য এই ডিজিটাল নিরাপত্তার আইন কাজ করবে।এই আইনের চোখে দোষ করলে তিনি গ্রেপ্তার হবে। তবে জেলখানায় বসে কারো মৃত্যু এটা কাম্য নয় বলে আমি মনে করি আর সেজন্য আমিও ব্যথিত।
তবে এই আইনের প্রয়োজন আছে এই আইন শুধু বাংলাদেশে নয়।এই ডিজিটাল নিরাপত্তার আইন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে রয়েছে। এমনকি সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়নেও একটি ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নাগরিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়া হয়।যে সমস্ত দেশের রাষ্ট্রদূতরা এসব নিয়ে বিবৃতি দেন, তাদের দেশেও এ আইন আছে। জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তবে আইনের অপপ্রয়োগ করা উচিত না।
এই বিষয়েও আমরাও সতর্ক দৃষ্টি রাখছি এসব কথা বলেন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ড. মো. বদরুজ্জামান ভুইঁয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও গ্রন্থ সম্পাদক শামীম আহমেদসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরা এই অনুষ্ঠানের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।