অবনী দেখতে সুন্দর হলেও একটু নাদুসনুদুস বটে। আবার উচ্চতায় ও একটু কম।ছেলের পরিবারের বাবা- মার এই নিয়ে মনে বেজায় দুঃখ।একমাত্র ছেলের বউ এরকম খাটো হলে চলে। তবুও সব ঠিকঠাক।আজ বাদে কালই তো এনগেজমেন্ট।
অবনীর মার খুশি দেখে কে! এত কষ্টের পর মেয়েটার একটা গতি করা যাবে।
দিন শেষে রাত হলো। রাত শেষ হলেই একটা নতুন সকাল দেখবে অবনী। আয়নায় নিজেকে দেখছে।
হঠাৎ তার ফোন।
কিছুক্ষণ বাক্যালাপ হলো। অবনী বুঝতে পারলো রাত শেষে সুন্দর সকাল টা অবনী আর দেখছে না।
ছেলের বাবা এই বিয়েতে রাজি না। ছেলের বাবা চায় তার বন্ধুর মেয়ের সাথেই তার ছেলের সংসার হোক। অবনীকে তার একেবারেই পছন্দ না। আর কি! পরিবারের কর্তাই যদি বেকে বসে বিয়ে ক আর হয়!
আর ছেলের এক কথা।বাবা মেনে না নিলেও বিয়ে টা আমিও করতে পারবো না।
এরপর অনেক বছর কেটে যায়। ছেলে টা বিদেশে পাড়ি জমায়। ছেলেটার সাথে অবনীর কিছু হিসেব নিকেশ বাকি ছিল। তাদের মনের সুর আর এক হয়ে বাজে না। অনেক মাস যায়,দিন যায়। মনের সিতারায় ধুলো জমে। দুজন দুজনার থেকে দূরে সরে যায়।
হিসেব নিকেশ শেষ হলে দুজনই বুঝে এ ভালোবাসায় মুগ্ধতা ছিল, সুর ছিল না। এ ভালোবাসায় মন ছিল না।
অনেক বছর শেষে একদিন ছেলে টা বলে বিয়ে করবে আমাকে?
অবনীর উত্তর ছিল, যে ভালোবাসার সুর একবার কেটে গেছে তা কি আর জোড়া লাগানো যায়? আমাদের গেছে যে দিন একেবারেই গেছে, কিছুই নেই বাকি 🙂
ছেলেটাও বুঝলো সময়ের দায় খুব কঠিন।বাকি সবই কেবল ফাকি।
এরপর আর কি! দিন যায়, রাত যায়। নিঝুম রাতে কিংবা ম্লান সন্ধ্যায় অতীতের স্মৃতি উকি দেয় তবুও ভালোবাসা মেলে না।
প্রতারণার আক্ষেপে অবনীর মনে কেবল দাগ কাটে!
ভালোবাসা কেবলই যাতনা ময়। এ শুধু ফেলে আসা একফালি চাঁদের মতো।আলো আছে কিন্তু নিজস্বতা নেই।