সোনাইমুড়ী নিউজ ডেস্কঃ ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউনিয়নের মাছপাড়া গ্রামে। প্রবাসী আবুল বাশারের স্ত্রী তার সাত বছরের সন্তান নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেল ঘটনাটি জানাজানি হয়েছে গত ১ মার্চ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি আবুল বাশার তার মাকে নিয়ে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পর এই সুযোগে আবুল বাশার এর স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়।
নাটোর গুরুদাসপুর এর প্রবাসী আবুল বাশারের বাড়ি থেকে নগদ স্বর্ণ অলংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে সন্তানসহ পালিয়ে গেল। স্ত্রী সন্তানকে খুঁজে পেতে গতকাল পয়লা মার্চ ফেসবুকের মাধ্যমে প্রবাসী আবুল বাশার একটা স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পরকীয়া প্রেমিক ও তার স্ত্রী সন্তানকে যে ধরিয়ে দিতে পারবে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হবে। ২০১৩ সালে আবুল বাশার এর সাথেপার্শ্ববর্তী থানা তাড়াশ উপজেলার মাগুরা গ্রামের মোঃ নিজাম উদ্দিনের মেয়ে শম্পা খাতুন পুতুলের বিয়ে হয়।
২০১৩ সালে বিয়ের চার মাস পর স্ত্রীকে রেখে সৌদি আরবে যায় আবুল বাশার। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে যার বয়স ৭ বছর চলছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরব থেকে তিনি দেশে আসেন। হঠাৎ করে আবুল বাশারের মা অসুস্থ হয়ে পড়ে অসুস্থ বোধ করলে তিনি তার মাকে নিয়ে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে আসলে। তাদের অগোচরে বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার যার বাজার মূল্য ১২ লক্ষ টাকা ও তার সাত বছরের সন্তানকে নিয়ে তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী প্রবাসী আবুল বাশারপাগলের মত হয়ে তাঁর স্ত্রী সন্তানকে খুঁজে বেড়াচ্ছে এ ব্যাপারে তিনি একটি ডায়েরি করেছেন গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এবং তার স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার পর শশুরের পরিবারকে জানানো হয় এবং আবুল বাশার তার স্ত্রী সন্তানকে খুঁজতে থাকেন। এই ব্যাপার গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানা এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সন্ধান পেয়ে যাব এবং তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে .৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করার মধ্যেও সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।