ইন্টারনেটে ফিশিং (ইংরেজিতে Phishing) বলতে প্রতারণার মাধ্যমে কারো কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যবহারকারী নাম ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য – ইত্যাদি সংগ্রহ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। … ফিশিং এর পদ্ধতি প্রথম বর্ণনা করা হয় ১৯৮৭ সালে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিশিং লিংক ছড়িয়ে আইডি হ্যাকের প্রবণতা নতুন কোনো ঘটনা নয়। প্রায়ই দেখা যায় নামি-দামি ব্র্যান্ডের নামে ফিশিং লিংক ছড়িয়ে বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নেয় হ্যাকাররা। লোভে পড়ে এসব লিংকে ক্লিক করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন মানুষ কম নেই। তাই ফিশিং লিংক নিয়ে সকলের জানা গুরুত্বপূর্ণ।
ভুক্তভোগী লিংকে ক্লিক করে ফেসবুকের ইউজার (নাম্বার, ইমেইল) ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলেই সব তথ্য হ্যাকারদের নিকট চলে যায়। অনেক সময় শুধু ক্লিক করার ফলে অনেক মূল্যবান তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যায়।যেমন যদি তারা এই লিংকটাকে সামান্য পরিবর্তন করে লেখেন, তাহলে ভালোভাবে নজর না দেওয়ার জন্য যে কেউ ধোঁকায় পড়তে পারে। তারপরই শুরু হয় একজন হ্যাকারের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ব্ল্যাকমেইলের মেসেজ, টাকা চাওয়া বা ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো ইত্যাদি।
ফিশিং লিংক থেকে বাঁচার উপায়:
১. অপরিচিত কাউকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত করবেন না।
২. মেসেঞ্জার অথবা ইমেইলে কারো কাছে থেকে পাঠানো কোনো লিংক/পিকচার ফাইল/ সংযোজনকৃত ফাইল ডাউনলোড অথবা ক্লিক করার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন।
৩. ফেসবুকে দুই স্টেপ অ্যাপ্রুভাল অপশন চালু রাখবেন।
৪. আনঅথোরাইজড লগইন নোটিফিকেশন অন রাখবেন।
৫. অতি উৎসাহিত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া অথবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাওয়া অতি লোভনীয় বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক না করা। ক্লিক করার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা।
৬.কোন লিংক ক্লিক করার আগে তথ্য যাচাই করতে হবে।
ফিশিং অ্যাটাকের শিকার হওয়া মানুষের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। এর মূল কারণ হলো ওয়েবসাইটের URL লিংক সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকা এবং অনলাইনে খুব সহজে কাউকে বিশ্বাস করা। অনেকেই শুধু দেখতে একই রকম (ইন্টারফেস) হলেই বিশ্বাস করে ফেলেন এটা আসল ওয়েবসাইট। কিন্তু যে কেউই ফেসবুক/গুগল/ইয়াহু/ব্যাংকের ওয়েবসাইট ইত্যাদির মতো হুবহু সাইট নিজেরাও ক্লোন/তৈরি করতে পারে।