বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান মিডটার্ম পরীক্ষার এক প্রশ্নপত্র নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে অনেকে আবার ব্যাপারটি নিয়ে ট্রোল করছে।
মূল ঘটনা হলো গতকাল (৮ জুন) অ্যাকাউনিটং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের বাংলাদেশ স্টাডিজ প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে প্রশ্নের সাথে অসামঞ্জস্য পূর্ন বাংলা সিনেমার ডায়লগ ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ ও ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ উল্লেখ করা হয়। এই প্রশ্নটি করেছেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয়ের অতিথি শিক্ষক মেহেদী হাসান সোহাগ। এ প্রসঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছে, বাংলাদেশ স্টাডিজ এর প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ এই উক্তিটি দ্বারা ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ব্রিটিশ হেজিমনির’ বিস্তারিত আলোচনা করতে বলা হয়। তবে হেজিমনি (আধিপত্য) বুঝানোর জন্য পরীক্ষার প্রশ্নে সিনেমার এই ডায়ালগ দেয়া মোটেও সঙ্গত কোন কারন নয়। আরও অনেক ধরনের উদাহরন এখানে দেয়া যেতো। সিনেমার ডায়লগ দেওয়ায় প্রশ্নটি সবার কাছে নেতিবাচক বলে মনে হয়েছে।এছাড়াও আরেকটি বিশেষ বিষয় হলো প্রশ্নপত্রে বাংলিশ অর্থ্যাৎ বাংলাভাষা ইংরেজি শব্দে উল্লেখ করা কতটা যৌক্তিক সেটিও বিবেচনার বিষয়। প্রশ্নকর্তা মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, এই প্রশ্নে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না অার নেগেটিভ কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না । এটি কোড আনকোড। যাদেরকে পড়িয়েছি আমি সেখানে টেক্সট ডকুমেন্ট দেওয়া আছে। কিন্তু অনেকে প্রসঙ্গ না বুঝে মন্তব্য করছে।প্রশ্নের প্রত্যেক জায়গায় হেজিমনি (আধিপত্য) রয়েছে।যারা হেজিমনি (আধিপত্য) পড়েছে তারা কোনো নেগেটিভ কথা বলবে না। হয়তোবা যারা জানে না তারা সমালোচনা করছে। প্রশ্নপত্র নিয়ে এখন যেটি হচ্ছে সেটিও একপ্রকার হেজিমনির (আধিপত্যের) বহিঃপ্রকাশ। অ্যাকাউনিটং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের প্রধান বলেন,প্রশ্নপত্রে এমন শব্দ ব্যবহারে আমি নিজেই বিব্রত বোধ করছি। কি কারনে এমন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা যিনি প্রশ্নটি করেছেন তিনি বলতে পারবেন আর বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও তার সাথে কথা বলবো।