বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আহ্বান জানিয়েছে ছয় কংগ্রেসম্যান। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।সরকার পতনে একের পর আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপি।বিএনপির দাবি দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট না দিলে তারা ভোটে অংশগ্রহন করবেননা।কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তাদের একচেটিয়া শাসন কায়েম করতে এসব তোয়াক্কা করছেননা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচনের সুযোগ তৈরিতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যান। মার্কিন কংগ্রেসম্যান বব গুড,শুক্রবার বাইডেনকে লেখা এ সম্পর্কিত একটি চিঠি তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন। ঐ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন কংগ্রেসম্যান স্কট পেরি, ব্যারি মুর, টিম বারচেট, ওয়ারেন ডেভিডসন এবং কিথ সেল্ফ। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শতশত উদাহরণ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ফ্রিডম হাউস, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিও তাদের প্রতিবেদনে নথিভুক্ত করেছে। শেখ হাসিনার সরকার নাগরিকদের উপর নির্যাতন করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সাংবাদিকদের কারাগারে বন্দি করেছে, বিরোধীদের গুম করেছে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের হত্যা করেছে। এ ঘটনা শুধু তার রাজনৈতিক বিরোধীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরাও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর অসাম্প্রদায়িকতা বিষয়টি নেই বললেই চলে। বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে। লুটপাট ও বাড়িঘর পোড়ানো, মন্দির ও ধর্মীয় মূর্তি ধ্বংস, হত্যা, ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার কারণে হিন্দুদের বাংলাদেশ থেকে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে। সাম্প্রতি বাংলাদেশের জনগন সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য বিক্ষোভ করেছে, যা হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের জন্য জনগণের একমাত্র আশা। এর জবাবে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করেছে, এমনকি হত্যা করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-সহ বেশ কিছু এনজিও র্যাবকে একটি সরকারি ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।এসব ঘটনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয়। তাই আমরা চাই বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।নয়তো বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সেনাদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হবে।সেই সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে