এসএম টিভি ডেস্ক: রাজধানীর কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের রোগীর মরদেহ আটকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আক্তারুজ্জামান মিয়া নামের এক ব্যাক্তি।
অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক হলেন- ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ল্যাপারোস্কপিক সার্জন প্রফেসর ডা. আবদুল ওহাব খান, ল্যাবএইড হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ও বিআরবি হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলী।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে,৪ঠা মে ডা. তৌফিক এনাম অসুস্থ হয়ে গেলে তার পিতা আখতারুজ্জামান মিয়া তাকে ডা. আবদুল ওহাব খানের কাছে নিয়ে যান। এরপর জরুরি ভিত্তিতে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে আবদুল ওহাব তার অধীনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। চিকিৎসক জানান অপারেশন না করলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
গেল ৫ মে অপারেশনের পর ৬ মে তৌফিক এনামকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক। এরপর গত ৯ মে সন্ধ্যার পর রোগী গুরুতর অসুস্থ হলে ডা. আবদুল ওহাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি রোগীকে তার কাছে নিয়ে যেতে বলেন।
১১ মে ডা. আবদুল ওহাব পরীক্ষা নিরীক্ষ করে তৌফিককে ল্যাবএইড হাসপাতালে ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে ছাড়া দেশের অন্য কোথাও এর চিকিৎসা করলে ভালো হবে না বলেও জানান ডা. আবদুল ওহাব।
সেখানে ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল রোগীর কতগুলো পরীক্ষা করাতে বলেন, এ সময় রোগীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হলেও ডা. স্বপ্নীলকে বারবার ডেকেও পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে তিনি রোগীকে বিআরবি হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলীর কাছে নিয়ে যাওয়োর পরামর্শ দেন।
আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে রোগীকে জোর করে ডা. মোহাম্মদ আলীর কাছে পাঠান বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মামলার বিবরণে।
এরপর আক্তারুজ্জামান মিয়া তার ছেলেকে সেখানে ভর্তি করেন। সেখানে ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো না। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে। অন্যথায় রোগীকে বাঁচানো যাবে না। এজন্য অনেক টাকা লাগবে।কিন্তু রোগীর পরিবারের সদস্যরা বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চাননি। বরং তারা পিজি হাসপাতালে বা অন্য কোথাও চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জোর করে এবং ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রোগীকে বিআরবি হাসপাতালে রেখে দেন।