গতকাল ইউরোপা লীগের ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ের লড়াইয়েও করা যায়নি সেভিয়া আর রোমার শ্রেষ্ঠত্বের মীমাংসা।নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে ম্যাচটি সমতায় থাকে ১-১ গোলে। শেষ পর্যন্ত সেভিয়া ও রোমার ইউরোপা লিগের ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ করতে হয় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুট আউটের সেই লড়াইয়েও ছিলো নাটকীয়তা। প্রথমে পেনাল্টি নিতে আসা রোমার মানচিনির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর সেমিফাইনাল খেলার নায়ক গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।
ফিরতি শ্যুট আউটে রোমার পোস্টে মেরে রোমাকে আরও পিছিয়ে দেন আইবানেজ। পরে সেভিয়ার হয়ে পেনাল্টি মিস হয় আর্জেন্টাইন তারকা গনসালো মনতিয়েলের। বিশ্বকাপে তাঁর পেনাল্টিতেই আর্জেন্টিনার সসর্বশেষ বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছিল। কিন্তু আজ রাতে হয়ে গেল আরেক নাটক। পেনাল্টি শটটি পোস্টে মারেন মনতিয়েল। কিন্তু রোমা গোলরক্ষক আগে থেকে সরে যাওয়ায় ফের সুযোগ পান মনতিয়েল। এবার আর ভুল হয়নি। দারুণভাবে বল জালে জড়িয়ে ৪-১ গোলে সেভিয়ার শিরোপা নিশ্চিত করেন সেভিয়ার এই ডিফেন্ডার।
এটি ইউরোপায় সেভিয়ার রেকর্ড ৭ম শিরোপা। এ নিয়ে সাতবার ফাইনাল খেলে প্রতিবারই জিতল তারা।আর ইউরোপা লীগ চালু হবার পর থেকে আজ অব্দি স্প্যানিশ দল বাদে অন্যদলগুলোর শিরোপা না জেতার রেকর্ড টি ও অটুট রয়ে গেলো।
এদিকে ইউরোপার ফাইনালে মুখোমুখি দুই দলের মাঝে রোমা
এর আগে গত বছরই উয়েফা কনফারেনস লিগের শিরোপা জিতে তাদের ১৪ বছরের শিরোপা খরা দূর করেন ।
নিজেদের উন্নতির ধারা অব্যাহত রেখে এবার ইউরোপা লিগের শিরোপা জেতার সুযোগ এসেছিল মরিনিওর দলের সামনে। সে সঙ্গে এ জয়ে ইউরোপে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের পতাকাও সমুন্নত রখতে পারতেন ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’ খ্যাত এই কোচ। কিন্তু নিজের ৬ষ্ঠ ইউরোপিয়ান শিরোপাটি জিততে পারেননি এই পর্তুগিজ কোচ। সেভিয়ার কাছে শেষ পর্যন্ত হারতে হলো তাঁকে,আর রোমা হারালো তাদের ইউরোপা লীগ জয়ের সুযোগ।