বর্তমানে পুরো বিশ্বই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।তাই আমাদের গ্যাস,কয়লা ও বিদ্যুৎ সহ সবকিছু ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তৃতা প্রদানকালে এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার ওয়াদা মোতাবেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের অভাব বিশ্বব্যাপী,দামও নাগালের বাহিরে।।তাই কেনাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। এরপরও সরকার থেমে নেই। কাতার ও ওমানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। কয়লা কেনার জন্য ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে পুনরায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু করা যায়। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী বলেন,বৈশ্বিক সংকট আরও বাড়তে পারে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ,নান ধরনের নিষেধাজ্ঞা, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি তেলের অভাবে বর্তমান বাংলাদেশ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে কিন্তু জ্বালানির অভাব হচ্ছে। সেখানে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করা হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে।মোট কথা পুরো বিশ্বের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল।এখনও বিশ্ব সেদিকেই এগোচ্ছে।করোনা,তার পর রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পুরোবিশ্ব যে খাদ্যসংকট, মুদ্রাস্ফীতি, পরিচালনা ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি—এটা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। বাংলাদেশে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে।সরকারকে দোষারোপ করে কোন লাভ হবেনা।এগুলো আমাদের লাগালের বাহিরে।আমরা শুধু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারি। জনগন সব জিনিস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে অপচয় কম হবে।কৃষিকাজ করে হবে।নিজেকে নিজের জন্য লড়াই করতে হবে টিকে থাকার জন্য। তবে দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য, তাদের খাদ্যনিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয়, তা সরকার করে যাচ্ছে।