সেবার অবনীর খুব জ্বর সাথে কী যে মাইগ্রেন এর কষ্ট। ১০৫° জ্বর। মেপে দেখেছিল।সারাদিন পেড়িয়ে সন্ধ্যা। সারাদিন কিছু খাওয়া হয় নি। বাসায় একা থাকার এ-ই এক অসুবিধা। খেতে তো ইচ্ছে করছেই না! আবার রান্না করার শক্তিও নেই। মা কে মিস করছে অবনী খুব! আধ ঘুম আর আধ জাগরণে অবনী তখন আচ্ছন্ন।
হঠাৎ অবনী টের পেল তার মাথার কাছে কে যেন দাড়িয়ে। মাথায় হাত বুলাচ্ছে কত যত্নে। অবনী বুঝতে পারলো মামণী এসেছে। মাকে অবনী মামণী ই ডাকতো। খাও কিছু মা! এভাবে পড়ে থাকলে আমার কী ভালো লাগে সোনা? একটু উঠো মা! এসব যে অবনীর কল্পনা।তা আর অবনীর ভাবতে ইচ্ছে করে না। হোক কল্পনা! তবুও মা এসেছিল তো।
অবনী খুব কষ্টে উঠলো। কোনরকম গোসল সেরে ঘরে যা আছে খেয়ে নিল। একা একা বেলকনি তে দাঁড়িয়ে তখন অবনী। রাত তখন খুব গভীর। ৩ টার কাছা কাছি। অবনী জানে এই দারুণ নীরবতায় অবনীর চোখের পানি দেখার কারো সাধ্যি নেই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া। তবুও এসবের এই নিদারুণ কষ্টে কোথাও কি স্রষ্টা বুঝে নিচ্ছে, এই কষ্টের যে অন্ত নেই! কষ্ট গুলো অবনী সহ্য করেছে ঠিকই কিন্তু এই ব্যথার তীব্রতা অবনী কে ছাড়ে নি একটুও। দিনের পর দিন কিংবা রাতের পর রাত এই তীব্রতা কেবল আকাশ ছুয়েছে!